সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে কুশিয়ারার প্রবল ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে উপজেলার ছবড়িয়া, শষ্যকুড়ি, ছয়লেন পালপাড়া, কেছরী, সোনাপুর, বড়পাথর, মাঝরগ্রাম, বড়ছালিয়া, উজিরপুরসহ প্রায় ২৫টি গ্রাম।
ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভূমিহীন হচ্ছেন শতশত পরিবার। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি। নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে কুশিয়ারা বেড়ীবাঁধ।
অপরদিকে, নদীর অপারে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল চর। কুশিয়ারা নদী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হওয়ায় নদী ভাঙ্গনে সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত, অপরদিকে ভরাট হচ্ছে ভারতের অংশ।
বুধবার বিকেলে জকিগঞ্জ শহরের এম.এ.হক চত্বরে ‘আমরা জকিগঞ্জবাসী’র ব্যানারে কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নি:স্ব হচ্ছে জকিগঞ্জের মানুষ। ঘরবাড়ী হারিয়ে ভূমিহীন হচ্ছে শত শত পরিবার। নদী ভাঙ্গনে বারবার ঘরবাড়ী বদল করেও রেহাই পাচ্ছে না নদী পারের মানুষ। ক্ষেতের জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় অনেক পরিবার মানবেতরভাবে দিন যাপন করছে। সীমান্ত এলাকায় নদীর অব্যাহত ভাঙ্গণে দেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখা পাল্টে যাচ্ছে। সর্বস্তরের জনগণের প্রাণের দাবী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে জকিগঞ্জ সীমান্তের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন আরোও ভয়াবহ রূপ নেবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.জি. বাবরের পরিচালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি বদরুল হক খসরু, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, সোনার বাংলার এমডি জাফরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কমরু, শাহাব উদ্দিন শাকিল, দেলোয়ার হোসেন নজরুল, সাবেক কাউন্সিলর ময়নুল হক রাজু, আল-ইসলাহ্ নেতা মাওলানা ফদ্বলুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা উদ্দিন, হিফজুর রহমান প্রমুখ।